পটশিল্পীরা ২০১১ সালে তাঁদের একটি সমষ্টি গড়ে তোলেন। সেটির নাম রাখা হয় ‘চিত্রতরু’। শুধু পটশিল্পেরই নয়, গ্রামের সর্বাঙ্গীন বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়াই এই সমষ্টির উদ্দেশ্য।
পটের সুবাদে পিংলা এখন হয়ে উঠেছে একটা জমজমাট জায়গা। এখানে ৩০০র বেশি পটুয়া মিলে চিত্রতরু নামের সমষ্টি গড়ে তুলেছেন ২০১১ সালে। ব্লকের প্রথম সারির শিল্পীরা এই সমষ্টির পরিচালনা পর্ষদ (গভার্নিং বডি) গঠন করেছেন। এর মূল উদ্দেশ্য শিল্পীদের শিল্পের বিপণন এবং তাঁদের জন্য আর্থ-সামাজিক উন্নতির সুযোগ গড়ে তোলা। এছাড়াও, এই সমষ্টি গ্রামের সর্বাঙ্গীন বিকাশের উদ্দেশ্যে কাজ করছে। আগামী প্রজন্মকে এই শিল্পে পারদর্শী করে তুলতে প্রশিক্ষণ প্রদান করাও চিত্রতরুর অন্যতম লক্ষ্য। চিত্রতরু ২০১০ সাল থেকে পিংলায় বাৎসরিক পটচিত্র-ভিত্তিক উৎসব পট মায়ার আয়োজন করছে। এখন চিত্রতরুর সদস্য সংখ্যা ২১ জন। মার্চ ২০১৮-তে চিত্রতরু পিংলার পটের জিওগ্রাফিকাল ইণ্ডিকেশন (জি-আই)-এর জন্য আবেদন করে এবং তা পায়। বর্তমানে, পিংলার পটশিল্পের বিপণন, ও সেই পরিকল্পনার মধ্যে এই জি-আই-এর ভূমিকা নিরূপনের বিষয়ে চিত্রতরু কাজ করে চলেছে।
১০ বছর বয়স থেকে পট আঁকছেন রহিম চিত্রকর। এখন তাঁর বয়স ৪০। তিনি ঐতিহ্যগত বাংলা স্টাইল-এ পট আঁকতে পছন্দ করেন। তিনি তাঁর শিল্প নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন জাপান ও বাংলাদেশে। পিংলার এই পটশিল্পী রাজ্য পুরস্কার এবং রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় পুরস্কার প্রাপ্ত।
পিংলা, পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা গুরুপদ চিত্রকর তাঁর শিল্পের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন। ৭০ বছর বয়স্ক গুরুপদ চিত্রকর পশ্চিমবঙ্গের বহুল পরিচিত পটশিল্পীদের মধ্যে একজন।
অমিত চিত্রকর অতি অল্প বয়স থেকে পটশিল্পে তালিম নেওয়া আরম্ভ করেন। তিনি একজন পটশিল্পী এবং চিত্রতরু সোসাইটির প্রেসিডেন্ট। পটচিত্রের প্রসার ও প্রচারের উদ্দেশ্যে তিনি বাংলার বিভিন্ন মেলা ও উৎসবে গিয়েছেন।
Get in touch with Chitrataru for any doubts or more information.