বিপণন, ঐতিহ্য এবং বৌদ্ধিক-সম্পত্তি অধিকার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পিংলার পটুয়াদের সাথে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়া, হ্যাশট্যাগ, ডিজিটাল স্টোরি, ব্যক্তিগত ও সম্মিলিত বিপণন, আকর্ষণীয় এবং পরিবেশ বান্ধব প্যাকেজিংয়ের গুরুত্ব ইত্যাদির মাধ্যমে শিল্পীরা কিভাবে তাঁদের ঐতিহ্যের প্রসার ঘটাবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হয় এই কর্মশালায়। উল্লেখিত বিভিন্ন বিষয়ে শিল্পীদের সচেতন করে তোলাই ছিল এই কর্মশালার উদ্দেশ্য।
ঐতিহ্য, বৌদ্ধিক- সম্পদ অধিকার ও বিপণন বিশেষজ্ঞরা পিংলার পটচিত্র সম্পর্কে জানার জন্য শিল্পীদের গ্রামে যান ও তাঁদের সাথে কথা বলেন। তাঁরা নানাধরণের ও নানাবিষয়ের পট দেখেন ও পটের গান শোনেন। পরে রিসোর্সে সেন্টারে বসে পটচিত্রের বিভিন্ন বৈশিষ্ট, বিষয়, পটচিত্র আঁকার পদ্ধতি, প্রাকৃতিক রং ও গাছের ফুল, ফল, পাতা ও অন্যান্য জিনিস থেকে রং তৈরির পদ্ধতি, পটচিত্রের বর্তমান বাজার ও ক্রেতা, এই বংশপরম্পরাগত শিল্পে পরবর্তী প্রজন্মের আগ্রহ ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা শিল্পীদের সাথে কথা বলেন।
"আমরা পটচিত্র সম্পর্কে জানতাম তবে বিভিন্ন ধরণের পট ও পটের বিষয়বৈচিত্র সম্পর্কে সচেতন ছিলাম না। আমরা এখানে সাবিত্রী সত্যবানের মতো পটচিত্র দেখেছি যা পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে তৈরি এবং এর পরের দিকে আধুনিক যুগের সামাজিক বিষয় নিয়ে পটও দেখেছি। শিল্পীরা কি ধরণের ব্রাশ ব্যবহার করেন সেটা দেখেছি এবং ফুল, পাতা থেকে কিভাবে তাঁরা রঙ তৈরি করেন তা শিখেছি। সত্যিই মনে রাখার মতো একটা দিন কাটালাম পিংলায়।"